Sunday, March 24, 2019

Infertility

আপনি এবং আপনার সঙ্গী একটি শিশুর জন্মের জন্য দীর্ঘদিন চেষ্টা করছেন ?? সারা বিশ্বে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ দম্পতি ইনফার্টিলিটিতে ভুগছেন । বেশিরভাগ দম্পতি কমপক্ষে এক বছর জন্য ঘন ঘন মিলন করা সত্ত্বেও গর্ভবতী হতে পারছেন না।
আপনার বা আপনার সঙ্গীর কোন সমস্যা, অথবা অন্য কোন ইনফার্টিলিটি সমস্যা হতে পারে। অনেক নিরাপদ এবং কার্যকরী কিছু উপায় রয়েছে যা উল্লেখযোগ্যভাবে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনাগুলির উন্নতি করতে পারে ।
লক্ষণ
বন্ধ্যাত্ব প্রধান উপসর্গ হল গর্ভবতী না হওয়া । অন্য কোন সুস্পষ্ট লক্ষণ হতে পারে। কখনও কখনও, মহিলাদের অনিয়মিত বা অনুপস্থিত মাসিক এর একটি বড় কারণ হতে পারে। আবার হরমোন সমস্যার কিছু লক্ষণ হতে পারে, যেমন চুলের বৃদ্ধি বা যৌনাঙ্গের ফাংশনের ত্রুটি ।
সর্বাধিক দম্পতিরা অনেক অপ-চিকিৎসা শেষে অবশেষে বা শেষ মুহূর্তে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হন।
কখন ডাক্তার দেখাতে হবে ??
যদি অন্তত এক বছরের জন্য নিয়মিতভাবে চেষ্টা করার পরেও যদি গর্ভধারণ না হয় তখন একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন ।
তবে সময় নষ্ট না করে ছয় মাস বা তার বেশি সময় ধরে চেষ্টা করেই চিকিৎসা শুরু করা উচিত ।
পুরুষের Infertility এর কারণ :-
অস্বাভাবিক শুক্রাণু উৎপাদন বা অন্ডকোষের কোন ত্রুটি, Genetic সমস্যা, স্বাস্থ্যগত কোন সমস্যা যেমন ডায়াবেটিস বা অন্য কোন সংক্রামক রোগ।
ভেরিকোসেল এর জন্যেও স্পার্ম বা শুক্রাণুর মানের উপরেও খারাপ প্রভাব ফেলে ।
যৌন সমস্যাগুলির কারণে শুক্রাণু সরবরাহের সমস্যাগুলি-
যেমন প্রিমেচিউর ইজাকুলেশন বা মেলামেশার ব্যর্থ চেষ্টা ।
কিছু জেনেটিক রোগ যেমন সিস্টিক ফাইব্রোসিস; কাঠামোগত সমস্যা, যেমন testicle এর কোন সমস্যা; বা প্রজনন অঙ্গ ক্ষতি বা আঘাত।
কীটনাশক এবং অন্যান্য রাসায়নিক এবং বিকিরণ হিসাবে কিছু পরিবেশগত কারণ। ধূমপান, অ্যালকোহল, মারিজুয়ানা গ্রহণ করা।
কিছু ক্ষতিকর ড্রাগ গ্রহণ করা।
যেমন কিছু এন্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড বা অন্যান্য ক্ষতিকর পানীয়,
যখন উত্তেজক ট্যাবলেট বা লিকুইড ক্ষতিকর পানীয়।
ক্যান্সার এবং তার চিকিৎসা সম্পর্কিত বিকিরণ বা কেমোথেরাপি। ক্যান্সারের জন্য চিকিৎসা শুক্রাণু উৎপাদন, কখনও কখনও গুরুতর ক্ষতি করতে পারে।
মানসম্মত শুক্রকীট উৎপাদন নিশ্চিত করণ না হওয়া ।
নারীদের infertility এর কারণ :-
* Ovulation disorders, যা ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু তৈরী ও সরবরাহ করতে না পারা ।
* হরমোন জনিত সমস্যা - যেমন পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম (PCOS)।
Hyperprolactinemia,
Hyperthyroidism
মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে হবে । যা বন্ধাত্বের একটি কারণ ।
* জরায়ুর অস্বাভাবিকতা- জরায়ুর সার্ভিক্স এর অস্বাভাবিকতা, জরায়ুর পলিপ, টিউমার, ফ্যালোপিয়ান টিউব ব্লকেজ।
* জরায়ুর মধ্যে যে কোন অস্বাভাবিকতা বন্ধাত্বের জন্যেও একটি বড় কারণ ।
* ফ্যালোপিয়ান টিউব ড্যামেজ বা ব্লকেজ - ফ্যালোপিয়ান টিউব ইনফ্লামেশন বা Salpingitis এর ফলে পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ, endometriosis হতে পারে। যৌন সংক্রামক রোগ এর কারণ হতে পারে ।
* Early Menopause বা দ্রুত ঋতু বন্ধ হয়ে যাওয়া । অনেকের ৪০ বছর বয়স হওয়ার আগেই মেনোপজ হয় ।


আমাদের হোমিওপ্যাথিতে Infertility এর চিকিৎসা সুনামের সাথে চলে আসছে ।

Dr. Faridul Islam Shohag 
D.H.M.S (BHB-Dhaka)
P.D.T (Homeopathic Medicine)
M.P.H (Nutrition). 
Consultant, Homeopathic Medicine & Nutrition.

Pelvic Inflammatory Disease (P.I.D)

Pelvic Inflammatory Disease (P.I.D)
পিআইডি নারীদের যৌনবাহিত গুরুতর রোগগুলির মধ্যে একটি: এটার জন্য জরায়ু, ডিম্বাশয়, ফ্যালোপিয়ান টিউব বা নারী প্রজননতন্ত্রের অন্যান্য অংশে মারাক্তক ক্ষতি হতে পারে এবং নারীদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের প্রাথমিক একটি কারণ।
এ রোগের অনেক গুলো কারণের মধ্যে যৌন রোগ যেমন-গণোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া (Chlamydia) সংক্রমন উল্লেখযোগ্য ৷ স্বামীর যদি যৌন রোগ থাকে তাহলেও হতে পারে৷ শতকরা ৬০-৭০ ভাগ ক্ষেত্রে পি আই ডি যৌন রোগের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত ৷
• জনন অঙ্গে যক্ষ্মার জীবাণুর সংক্রমণেও পি আই ডি হতে পারে ৷
• মদ্যপান, ড্রাগ আসক্তি, একাধিক যৌন সঙ্গীর কারণে পি আই ডি হয়ে থাকে ৷


অন্যান্য কারণের মধ্যে-
• অল্প বয়সে যৌন জীবন শুরু,
• মাসিকের সময় সহবাস,
• অস্বাস্থ্যকর ও অদক্ষ ভাবে গর্ভপাত করা এবং ডেলিভারি করানো,
• ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার না করা,
• স্ত্রী জনন অঙ্গের কোন অপারেশনের পর, লুপ বা কপারটি পরাবার পর এই প্রদাহ হতে পারে ৷
সাধারনত ১৪-২৫ বছর বয়সের মহিলারা পি আই ডিতে বেশি আক্রান্ত হয়৷ অশিক্ষিত, দরিদ্র মহিলাদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশি কারণ তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা খুবই কম ৷
রোগের লক্ষণ-
• তলপেটের মারাত্মক প্রদাহ।
• তলপেটে তীব্র ব্যথা হওয়া ৷ এই ব্যথা কোমরে এবং বাহুতে বিস্তার করতে পারে ৷
• তলপেটে ভারি ভারি অনুভব করা
* সহবাসে এবং জরায়ু ও জরায়ু মুখ স্পর্শ করলে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করা ৷
• অস্বাভাবিক স্রাব হলুদ বা সবুজ রং বা যে একটি অস্বাভাবিক গন্ধ লক্ষ করা যায় ।
• যোনিপথে দুর্গন্ধ যুক্ত সাদাস্রাব বা পুঁজ নির্গত হওয়া
• প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, জ্বালা-যন্ত্রণা করতে থাকে ৷
• মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে ৷
• শরীরে সব সময় জ্বর থাকতে পারে ৷
• মাথাব্যথা, বমিভাব, পেটফাঁপা হতে পারে ৷
• খেতে অরুচি এবং স্বাস্থ্য ক্ষীন হয়ে যেতে পারে ৷
পরীক্ষা-
রক্তের রুটিন পরীক্ষা করতে হবে৷ জরায়ু মুখের রস পরীক্ষা করলে গণোরিয়ার জীবাণু পাওয়া যেতে পারে ৷ ট্রান্সভ্যাজাইনাল আলট্রাসনোগ্রাম ও ল্যাপারোস্কোপি করলে আরো সঠিক ভাবে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব৷ কিছু কিছু সমস্যা আছে যাদের লক্ষণ তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের বা পি আই ডির মতো মনে হতে পারে যেমন - একিউট এপেনডিসাইটিস, মূত্র নালীর তীব্র প্রদাহ, জরায়ুর বাইরে গর্ভ ধারন বা এক্টোপিক প্রেগনেন্সি, সেপটিক অ্যাবরশন বা গর্ভপাত ইত্যাদি ৷ এ ক্ষেত্রে দ্রুত পরীক্ষা করে সঠিক কারণ নির্ণয় করতে হবে ৷
চিকিৎসা-
তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের বা পি আই ডির লক্ষণ গুলো দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ৷ তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের বা পি আই ডি রোগীর যৌন সঙ্গীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও যৌন রোগ নির্ণয় করে উপযুক্ত  চিকিৎসা করাতে হবে ৷ যৌন সঙ্গীর সঠিক চিকিৎসা না হলে রোগিণী আবার আক্রান্ত হয়ে পড়বে৷ গর্ভাবস্থায় তলপেটের মারাত্মক প্রদাহ বা পি আই ডি হলে গর্ভবতীকে অবশ্যই  চিকিৎসা করাতে হবে ৷ গর্ভবতীর দ্রুত এবং সঠিক চিকিৎসা না হলে মা ও শিশু নানা রকম জটিলতার শিকার হবে, এমনকি শিশুর মৃত্যুও হতে পারে ৷
প্রতিরোধ ব্যবস্থা
তলপেটের মারাত্মক প্রদাহ বা পি আই ডি রোগীর উপযুক্ত চিকিৎসা করা না হলে পরবর্তীতে বন্ধ্যাত্ব এবং অন্যান্য জটিলতা দেখা দেয় ৷ সে জন্য যৌনরোগ গুলির প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা দিলে পি আই ডি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব ৷ বাচ্চা হওয়ার পর বা গর্ভপাতের পর বিশেষ পরিচ্ছন্নতা দরকার ৷ মাসিকের সময় কাপড় বা ন্যাপকিন যাই ব্যবহার করা হোকনা কেন তা অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে৷ একবার ব্যবহার করা জিনিস কখনই দ্বিতীয় বার ব্যবহার করা যাবেনা ৷ প্রতিবার বাথরুমে যাওয়ার পর যৌনাঙ্গ ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে৷ ঝুঁকিপূর্ণ সহবাসে কনডম ব্যবহার করতে হবে ৷ মনে রাখতে হবে, কনডম যৌনরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে ৷
হোমিওপ্যাথিতে লক্ষণানুসারে চিকিৎসা করা হয় সকল রোগের । তাই এ রোগেরও লক্ষণানুসারে চিকিৎসা করা হয়।

Dr. Faridul Islam Shohag 
D.H.M.S (BHB-Dhaka)
P.D.T (Homeopathic Medicine)
M.P.H (Nutrition). 
Consultant, Homeopathic Medicine & Nutrition.

Thursday, March 21, 2019

কিডনি পাথর (Kidney Stone)

কিডনি পাথর হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে এবং এটা মূত্রনালীর যে কোন অংশকে প্রভাবিত করতে পারে - কিডনি থেকে মূত্রাশয় পর্যন্ত।
• স্বল্পমুত্র
• শরীরে ভিটামিন এ এর ঘাটতি।
• প্রস্রাবে বিভিন্ন মাত্রায় লবণের আধিক্য।
• গরম আবহাওয়া।
• হরমোনের অসমতার কারণে প্রস্রাবে সাইট্রেটের পরিমাণ কমে যাওয়া।
• মূত্রথলিতে দীর্ঘ সময় প্রস্রাব জমে থাকা এবং পর্যাপ্ত প্রস্রাব না হওয়া।
• প্রস্রাবের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা বা প্রস্রাবের বেগ না থাকা • প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা।
• কিডনিতে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ ও সংক্রমণ।
• কিছু ঔষধ বা অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম এর জন্য।

পাথর গঠনকারী উপাদানের ওপর নির্ভর করে কিডনি পাথর বিভিন্ন ধরনের হতে পারে।
• ক্যালসিয়াম অক্সালেট (Calcium Oxalate Stone)
• ক্যালসিয়াম ফসফেট (Calcium Phosphate Stone)
• ইউরিক এসিড (Uric Acid)
• সিস্টিন (Cystine)

প্রস্রাবে দ্রবীভূত ক্যালসিয়াম অক্সালেট, ফসফেট, ট্রিপল-ফসফেট, ইউরিক এসিড, সিস্টিন, সালফার প্রভৃতি পদার্থ প্রস্রাবের সঙ্গে কিডনিতে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে। এভাবে দীর্ঘ সময় অবস্থানের পর পাথরের আকার ধারণ করে এবং দিন দিন বড় হতে থাকে।
নারীদের চেয়ে পুরুষদের পাথর হওয়ার ঘটনা কিছুটা বেশি। সব পাথর উপসর্গ তৈরি করে না। ফসফেট পাথর সাধারণত নীরব থাকে। এ পাথর আকারে খুব বড় হলে কিডনির টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কেবল তখনই উপসর্গ দেখা দেয়। কিডনিতে পাথর হলে শতকরা ৭৫ ভাগ ক্ষেত্রে রোগী ব্যথা এবং প্রস্রাবে রক্ত যাওয়ার কথা বলেন। সংক্রমণ থাকলে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
কিডনি পাথরের ব্যথা নির্ভর করে পাথরের অবস্থানের ওপর। পাথর যদি কিডনিতে থাকে তা হলে ব্যথা অনুভূত হয় পিঠে, পাঁজরের ঠিক নিচে। এ ব্যথা পেছন থেকে সামনে ছড়িয়ে পড়তে পারে। হাঁটাচলায় ব্যথা বেড়ে যায়। বিশেষ করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় ব্যথা তীব্র হয়।
পাথর বৃক্কনালিতে থাকলে কোমরের পশ্চাৎভাগে ব্যথা হয় এবং এ ব্যথা সেখান থেকে কুঁচকিতে ছড়ায়। বৃক্কনালিতে পাথর নিচের দিকে নেমে যাওয়ার সময় নালিতে সংকোচন হয় ও ব্যথা করে। হাঁটু গেড়ে বসলে ব্যথা বেড়ে যায়।
ব্যথার সময় রোগীর প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে এবং প্রস্রাব ধোঁয়াটে হতে পারে। পাথর বৃক্কনালিতে আটকে যেতে পারে, তখন নারীদের যৌনাঙ্গে ও পুরুষদের লিঙ্গ মুণ্ডে অথবা অণ্ডকোষে তীব্র ব্যথা করে। রোগীর প্রস্রাব করতে অসুবিধা হতে পারে, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে অথবা সামান্য পরিমাণ বা ফোঁটায় ফোঁটায় প্রস্রাব হতে পারে। প্রস্রাব খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়।
রোগ নির্ণয় করতে
• প্রস্রাব পরীক্ষা
• এক্স-রে KUB
• আলট্রাসনোগ্রাম করা হয় ।
চিকিৎসা
হোমিওপ্যাথিতে এর ভাল চিকিৎসা আছে ।
কি খাবেন আর কি খাবেন না:-
• প্রচুর পরিমাণে তরল খেতে হবে।
• যেসব অসুখে কিডনিতে পাথর হতে পারে তার চিকিৎসা করতে হবে, যেমন : হাইপার প্যারাথাইরয় ডিজম, গাউট, হাইপার ক্যালসেমিয়া সংক্রমণ, সারকয়ডোসিস, অ্যাড্রেনাল ডিসঅর্ডার ইত্যাদি।
• দুধ, পনির ও উচ্চ ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার পরিহার করতে হবে।
• রেডমিট, মাছ প্রভৃতি উচ্চ পিউরিনসমৃদ্ধ খাবার পরিহার করতে হবে।
• সোডিয়াম বাই কার্বোনেট অথবা সাইট্রেট গ্রহণ করতে হবে।
• সালফারসমৃদ্ধ খাবার, যেমন—ডিম, গোশত বা মাছ সীমিত করতে হবে।
• কার্বোহাইড্রেট ও চর্বি সীমিত করার প্রয়োজন নেই। কারণ এগুলো পাথর তৈরি করে না।
প্রচুর পানি পান করতে হবে। কিডনি পাথরের ঝুঁকি কমাতে অন্তত ২.৫ - ৩ লিটার পানি পান করতে হবে। সিস্টাইন পাথরের জন্য ৪ লিটার পানি পান করতে হবে।
চিনিযুক্ত খাবার, ফলের জুস, কফি এবং চা কিডনি পাথরের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
মাংস, মাছ, সীফুড, হাঁস এবং ডিম সহ পশু প্রোটিন সীমাবদ্ধ করতে হবে।
প্রতি দিন অ্যানিম্যাল প্রোটিন ২ থেকে ৩ সারভিং এর বেশি গ্রহণ করা যাবে না।
উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন যেমন শুকনো মরিচ, মটরশুটি গ্রহণ করতে হবে।
আপনি খাওয়া লবণ (সোডিয়াম)বন্ধ বা এর পরিমাণ সীমাবদ্ধ করুণ।
প্রসেসিং খাদ্য বা প্যাকেটজাত খাদ্য পরিহার করুণ।
ক্যালসিয়ামের পরিপূরক গ্রহণের পরিবর্তে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান। দুধ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য, কাঁটা সহ ছোট মাছ খেতে পারেন।
আপনি যদি ভিটামিন সি গ্রহণ করতে চান তবে নিশ্চিত করুন যে আপনি প্রতিদিন 1000 মিলিগ্রাম কম গ্রহণ করছেন। উচ্চ পরিমাণের ভিটামিন সি পাথরের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন । 
Dr. Faridul Islam Shohag 
D.H.M.S (BHB-Dhaka)
P.D.T (Homeopathic Medicine)
M.P.H (Nutrition). 
Consultant, Homeopathic Medicine & Nutrition.

প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড বৃদ্ধি (Prostatitis)

প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড বৃদ্ধি (Prostatitis)



রাতে একবার বা দুবার প্রস্রাবের জন্য বাথরুমে যাওয়া একটি বিরক্তিকর অবস্থা । অধিকাংশ পুরুষদের জন্য, এই রাতে বাথরুমে যাওয়া প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড বৃদ্ধির প্রথম চিহ্ন হতে পারে। প্রস্টেট একটি সুপারির মতো মাংস পিণ্ড, যা পুরুষের মূত্রথলির সামান্য নীচে অবস্থিত এক টুকরা সুপারির মতো মাংশপিন্ড যার মধ্যে দিয়ে মূত্র নালী প্রবাহমান । এর প্রধান কাজ বীর্যের তরল অংশ তৈরি করে শুক্রাণুর খাদ্যের জোগান দেওয়া।
সাধারণত বৃদ্ধ বয়সেই প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড বৃদ্ধি ও মূত্র নালী সঙ্কীর্ণ হয়।
লক্ষণ বা রোগের উপসর্গসমূহঃ-
* ধীরে ধীরে বা বিলম্বিত মূত্রত্যাগ (A weak or slow urinary stream)
* রাতে ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ (Need to urinate frequently during the night)
* প্রস্রাব করার পরও প্রস্রাবের থলি খালি না হওয়া (Difficulty in emptying the bladder)
* হঠাৎ প্রস্রাবের খুব চাপ (Strong sudden urge to urinate)
* প্রস্রাবের গতি দুর্বল হওয়া ও মাঝপথে বন্ধ হওয়া (A urinary stream that starts and stops)
* প্রস্রাবের বেগ আটকিয়ে রাখা অসম্ভব হওয়া, কাপড় নষ্ট হয়ে যায়, কিছুতেই ধৈর্য ধরা যায় না (Incontinence)
* প্রস্রাব করার পর মুহূর্তেই প্রস্রাবের চাপ (Returning to urinate again minutes after finishing)

যে সব পরীক্ষা করা হয় তা হলো প্রস্রাবের রুটিন, মাইক্রোসকপিক ও কালচার সেনটিভিটি পরীক্ষা, আল্ট্রাসোনোগ্রাম, কে, ইউ, বি এক্সরে-ইউরোফ্লোমেট্রি, সিরাম পি.এস.এ সিসটোমেট্রাগ্রাম বা ইরোডাইনামিক ষ্ট্যাডি, DRE (পায়ুপথে আঙ্গুল দিয়ে প্রস্টেট পরীক্ষা করে প্রস্টেট গ্রন্থির আকার, প্রকৃতি, ধরন এবং কাঠামো সম্পর্কে ধারণা লাভ করা) ইত্যাদি।
চিকিৎসাঃ -
হোমিওপ্যাথিতে প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড বৃদ্ধি বা Prostatitis এর ভাল চিকিৎসা আছে ।


Dr. Faridul Islam Shohag 
D.H.M.S (BHB-Dhaka)
P.D.T (Homeopathic Medicine)
M.P.H (Nutrition).
Consultant, Homeopathic Medicine & Nutrition.

ক্যালসিয়াম (Calcium) সমাচার!!

ক্যালসিয়াম সমাচার!! অনেক মানুষ মুড়ির মত যে ওষুধগুলো খায়, তার মধ্যে ক্যালসিয়াম (Calcium) ট্যাবলেট একটি। শরীরে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা সুবিস্তৃত। ...