Monday, June 8, 2015



 লিপস্টিকের এর কিছু ক্ষতিকারক প্রভাব


লিপস্টিক হচ্ছে এক প্রকার প্রসাধনী দ্রব্য যা বিভিন্ন রকম রঞ্জক পদার্থ, তেল, মোম, এবং ত্বক কোমলকারী পদার্থের সন্নিবেশে তৈরি হয়, এবং মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে তা ঠোঁটে প্রয়োগ করা হয়। লিপস্টিক বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। লিপস্টিক সাধারণত নারীদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়, এবং রূপসজ্জার কার্য ব্যতীত ছেলেরা এটি ব্যবহার করেন না। নারীদের ক্ষেত্রেও বয়সন্ধিকালে রয়েছেন এমন মেয়ে বা তরুণীরা সচারচর লিপস্টিক ব্যবহার করেন না, কারণ সেসময় ঠোঁটের প্রাকৃতিক রং ও ভাঁজ, সর্বোপরি সৌন্দর্য, অটুট থাকে। লিপস্টিকের এর ক্ষতিকারক প্রভাব গুলি হল-

১) লিপস্টিকে ক্ষতিকারক সীসা থাকায় তা ব্যবহারকারীর বুদ্ধিমত্তা, আচরণ ও শিক্ষণ দক্ষতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা।
২)গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে লিপস্টিক থেকে অনাগত সন্তানের দেহে সীসার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ারও ঝুঁকি আছে বলে জানানো হয়েছে পিটিআই এর খবরে।
৩)ব্যক্তিগত প্রসাধনী পণ্য পরিষদের প্রধান বিজ্ঞানী হালিনা ব্রেসলয়েক বলেছেন, “আপনি যদি জনস্বাস্থ্যে সীসার প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হন, তাহলে আপনি লিপস্টিকের দিকে তাকাবেন না।” তবে অতীতের তুলনায় বর্তমানে লিপস্টিকে সীসার ব্যবহার কমছে- সাম্প্রতিক এ গবেষণায় সেটিই দেখা গেছে।

এর আগে ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফুড এন্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ পরিচালিত এক গবেষণায় লিপস্টিকে উচ্চ মাত্রার সীসা উপস্থিতি ধরা পড়েছিল। কিন্তু এবারে তার তুলনায় সীসার মাত্রা অনেক কম পরিলক্ষিত হয়েছে। এ প্রবণতা আশাব্যাঞ্জক বলেই মনে করছেন গবেষকরা।


 
নখ দেখে রোগ চেনা 
 ১। নখ ফ্যাকাসে হলুদ রং এর হলে – হাঁপানি/ যক্ষ্মা/ ফাঙ্গাস জনিত রোগ। 
২। নখ সাদাটে – যকৃতের প্রদাহ/ লিভার সিরোসিস। ৩। নখ ফ্যাকাসে – রক্তস্বল্পতা/ এনিমিয়া। 
৪। নখ নীলচে – হার্ট ফেইলর/ হৃদরোগ/ ফুসফুসের ক্রনিক সমস্যা। 
৫। ধূসর নীল বা বাদামী – অতিরিক্ত লৌহ জমা থাকার জন্য রোগ। হিমোক্রোমাটোসিস। 
৬। নখের আড়াআড়ি সাদা লাইন – কেমোথেরাপি/ সার্জারির পর সংক্রাম রোগ বা Drug reaction কারনে। 
৭। নখ অর্ধেক সাদা ও অর্ধেক স্বাভাবিক – Kidney সমস্যা জনিত রোগ। 
৮। নখ ভঙ্গুর প্রকৃতির – ডিহাইড্রেশান বা পানিশূন্যতা। 
৯। নখের নীচে ছোট কাল ফোঁটা – হার্টের ভাল্ব জনিত সমস্যা। 
১০। গোলাকৃতির নখ হলে – জন্মগত হৃৎযন্ত্রের সমস্যা/ যক্ষ্মা/ ফুসফুসের ক্যান্সার।
 

Hepatitis B

Hepatitis B is just one of several types of hepatitis, an infection that affects the liver. It is considerably more serious than hepatitis A and affects thousands of people each year. Knowing the facts can help prevent the spread of hepatitis B.
 
What Is It?
Hepatitis B is a serious viral condition that causes inflammation of the liver and affects how well the liver functions. Unlike other types of hepatitis, it is a little bit harder to become infected with hepatitis B, but it is still one of the more widespread diseases in the world. Hepatitis B also differs from other types of hepatitis in that some people go on to have chronic hepatitis, which means that it never completely goes away, but rather goes into remission. Those who have chronic hepatitis B are at a much higher risk for developing cirrhosis of the liver, liver cancer or needing a liver transplant.
The swelling and irritation associated with inflammation is the body's attempt to heal itself and it occurs whenever there is an injury or illness in the body. The inflammation of the liver can cause the liver not to work properly, which is of serious concern when consideration is given to the job that the liver performs every day. The liver is responsible for removing harmful substances from the blood, aiding in food digestion and storing nutrients in the body.
Hepatitis B is diagnosed with blood tests that look for immunoglobulin antibodies. The body produces these antibodies in response to the hepatitis B virus. Depending upon the results of the blood tests, the doctor can determine the type of hepatitis infection as well as how far it has progressed.
Hepatitis B is 50 to 100 times more infectious than HIV according to the World Health Organization (WHO). According to the Centers for Disease Control and Prevention (CDC), there are an estimated 800,000 to 1.4 million people currently living with a chronic hepatitis B infection in the United States. The CDC also estimates that between 4.3 and 5.6 percent of the population have had hepatitis B.
 
Causes And Risk Factors
Hepatitis B is caused by the hepatitis B virus. It is transmitted through contact with the blood, semen and other bodily fluids of an infected person. It is also transmitted from mother to child during birth. Because of this, all newborns in the U.S. usually receive the hepatitis B vaccine for newborns before leaving the hospital. Common routes of infection include:
* Getting a tattoo or acupuncture with an unclean needle
* Blood transfusions (though most blood products in the U.S. are tested for hepatitis B and other diseases)
* Sexual contact with an infected person
* Direct contact with blood in a health care setting
* Shared needles during drug use
* Sharing personal items such as toothbrushes or razors
Risk factors for contracting hepatitis B include:
* Being born or having parents who were born in regions that have high infection rates
* Being infected with HIV (those who have HIV are often infected with hepatitis B as well)
* Being on hemodialysis
* Having sex with multiple partners
* Men having sex with other men
Hepatitis B cannot be transmitted through casual contact such as hugging, shaking hands or sitting in a chair after an infected person.
 
Symptoms
Many people with hepatitis B experience no symptoms at all, others experience very mild symptoms, while others still have very serious symptoms. Just because a person doesn't experience severe symptoms, doesn't mean that the condition isn't serious. Symptoms can include;
* Fever
* Nausea or vomiting
* Jaundice (yellow skin or eyes)
* A longer than normal period of time for bleeding to stop
* Swelling in the stomach or ankles
* Dark urine
* Pale or gray stool
* Bruising
* Tiredness
* Loss of appetite
* Diarrhea
Those who have hepatitis B can be sick with the above symptoms for several weeks or months or the hepatitis may be fulminant which means that it comes on suddenly and is quite severe, even life threatening.
Treatment
Treatment for hepatitis B is usually supportive, unless the hepatitis becomes chronic, meaning that it doesn't go away. If someone has chronic hepatitis they may need the help of antiviral medications. For those who don't have chronic hepatitis B, rest is recommended, as well as avoiding fatty food and substances that are toxic to the liver such as alcohol and acetaminophen (Tylenol).
In the case of chronic hepatitis B, antiviral medications can be used to help stop the damage to the liver that can result from chronic infection. If the damage to the liver becomes severe, a liver transplant may be required as a person cannot live without a functioning liver. But this is only done in extreme cases.
 
Prevention
Most cases of hepatitis B are completely preventable and there are a number of ways to help stop the spread. The hepatitis B vaccine is given to all newborns before leaving the hospital (unless their health dictates otherwise) in an effort to stop the spread of the disease, since vaccinating only those who were at risk did not prove to be effective. Adults can also get a different type of hepatitis B vaccine if they are at a higher risk for contracting the disease. Some of the things that people can do to prevent contracting or spreading hepatitis B include;
* Avoid sexual contact with a person who is infected or use condoms and other safe sex practices
* Don't share personal items such as toothbrushes and razors
* Don't share needles or other drug paraphernalia
* Clean up any blood or other bodily fluid spills with a solution of one part chlorine bleach mixed with 10 parts of warm water
Hepatitis B can be a serious condition, but with proper vaccinations and diligent preventative measures, the number of people who contract the disease each year will continue to decline.
 




Homoeopathy Can Cure Hepatitis B.


Dr. Faridul Islam Shohag
D.H.M.S. (Dhaka)
P.D.T. (Hom) B.H.M.C.H. (Dhaka)
Homeopathic Consultant.
Cell 01717088016
01822816885

জেনেনিন অকাল গর্ভপাতের কারন সমুহ
গর্ভধারণ করার ক্ষমতা নারীদের জন্য একধরনের আশীর্বাদের মতো। কিন্তু নারীদের জন্য দুর্বিষহ যন্ত্রণার একটি দুর্ঘটনা হচ্ছে অকাল গর্ভপাত। একজন নারী নিজের দুঃস্বপ্ন ও এই দুর্ঘটনার কথা ভাবতে পারেন না। কিন্তু ইদানীং অনেক নারীকেই এই দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। গর্ভধারণের প্রাথমিক পর্যায় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই সময়েই ঘটতে পারে এই দুর্ঘটনা। কিন্তু ঠিক কি কারণে এই অকাল গর্ভপাতের মতো দুর্ঘটনা ঘটে যা জানেন কি? চলুন জেনে নেয়া যাক অকাল গর্ভপাতের প্রধান কারণগুলো।

১) জেনেটিক্যাল কারণ: প্রায় ৫০% অকাল গর্ভপাতের মূল কারণ হচ্ছে জেনেটিক ব্যাপারসমূহ। গর্ভের ভ্রূণটি জেনেটিক অথবা ক্রোমোজোমের সমস্যার কারণে বেঁচে থাকে না। তবে এই ধরণের গর্ভপাতের পর পরবর্তী সময়ে নারীরা সাধারণভাবেই গর্ভধারণ করতে পারেন।
২) ইমিউনোলজিক্যাল কারণ: কিছু নারীর রক্তে অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রা বেশি থাকে যা নিজের কোষকেই আক্রমণ করে বসে। এই ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক প্ল্যাসেন্টাকে আক্রমণ করে অথবা ভ্রুনের রক্তসঞ্চালন পথে বাঁধা সৃষ্টি করে যার কারণে ভ্রূণটি বাঁচানো সম্ভব হয় না।
৩) অ্যানাটোমিক কারণ: অনেক নারী দেহের ইউটেরাসে সেপ্টাম অর্থাৎ একধরণের দেয়াল থাকে, ডাবল অথবা হাফ ইউটেরাইন ক্যাভিটি থাকে যার কারণেও অকাল গর্ভপাতের সম্ভাবনা দেখা দেয়।
৪) ইনফেকশনের কারণে: গর্ভধারণের প্রাথমিক সময়ে ইনফেকশনের সমস্যা দেখা দিলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা দেখা দেয়। ইনফেকশনের কারণে নানা ধরণের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং প্যারাসাইট দেহে আক্রমণ করে যার কারণে অকাল গর্ভপাত ঘটে।
৫) হরমোন এবং মাসিকের সমস্যা (এন্ডোক্রাইন): গর্ভধারণের প্রাথমিক পর্যায়ে মাতৃদেহে নানা ধরণের হরমোনের সৃষ্টি হয় যাতে তার দেহ পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সাথে মানিয়ে চলতে পারে এবং দেহে এমব্রায়ো তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে যেসকল নারীদের মাসিকে সমস্যা এবং পিসিওএস রয়েছে তাদের অকাল গর্ভপাতের সম্ভাবনা দেখা দেয়।
৬) অন্যান্য কারণ: দেহের জন্য ও ভ্রুনের জন্য ক্ষতিকর পদার্থ যেমন ড্রাগ, অ্যালকোহল (মদ), ধূমপান এবং অতিরক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের কারণে গর্ভপাত হতে পারে। এছাড়াও অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে ভ্রুন ক্ষতিগ্রস্থ হয় যার কারণেও অকাল গর্ভপাত হয়।
 




বহুমূত্র রোগ
দেহযন্ত্র অগ্ন্যাশয় যদি যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হয়, তাহলে যে রোগ হয় তা হলো ডায়াবেটিস বা বহুমুত্র রোগ। তখন রক্তে চিনি বা শকর্রার উপস্থিতিজনিত অসামঞ্জস্য দেখা দেয়। ইনসুলিনের ঘাটতিই হলো এ রোগের মূল কথা। অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন ইনসুলিন, যার সহায়তায় দেহের কোষগুলো রক্ত থেকে গ্লুকোজকে নিতে সমর্থ হয় এবং একে শক্তির জন্য ব্যবহার করতে পারে। ইনসুলিন উৎপাদন বা ইনসুলিনের কাজ করার ক্ষমতা-এর যেকোনো একটি বা দুটোই যদি না হয়, তাহলে রক্তে বাড়তে থাকে গ্লুকোজ। আর একে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ঘটে নানা রকম জটিলতা, দেহের টিস্যু ও যন্ত্র বিকল হতে থাকে।
 
রোগ নির্ণয়
মানুষের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ সাধারণত ৩.৩ থেকে ৬.৯ মিলি.মোল/লি আর খাবার পর <৭.৮ মিলি.মোল/লি।কিন্তু যদি গ্লুকোজের পরিমাণ অভুক্ত অবস্থায় ৭ মিলি.মোল/লি আর খাবার পর >১১ মিলি.মোল/লি পাওয়া যায়,তবে তার ডায়াবেটিস আছে বলে ধরে নেওয়া হয়।
 
ধরন
বহুমূত্র রোগ বা ডায়াবেটিস বললে সাধারাণতঃ ডায়াবেটিস মেলাইটাস বোঝায়। তবে ডায়াবেটিস ইনসিপিডাস নামে আরেকটি রোগ আছে যাতে মূত্র উৎপাদন বেশী হয় কিন্তু তা ADH নামে অন্য একটি হর্মোনের উৎপাদনের অভাব বা ক্রিয়ার অভাবে হয়ে থাকে এবং মূত্রাধিক্য এবং তার জন্য অতিতৃষ্ণা এই দুটি উপসর্গের মিল ছাড়া এই রোগটির সঙ্গে "ডায়াবেটিস মেলাইটাস"-এর কোন সম্পর্ক নেই। এ দুটির মধ্যে ডায়াবেটিস মেলাইটাসের প্রকোপ অনেক বেশী। ডায়াবেটিস মেলাইটাস আবার দু'রকম হতে পারে।
যথাঃ টাইপ-১ বা ইনস্যুলিন নির্ভরশীল এবং টাইপ-২ বা ইনস্যুলিন নিরপেক্ষ ডায়াবেটিস।
টাইপ-২
টাইপ-২ বহুমুত্র রোগের পেছনে থাকেsfsdf মূলত ‘ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স’।
টাইপ-১ বহুমুত্র হলো অটোইম্যুন রোগ। এ রোগে অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন নিঃসরণকারী কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। তাই যাদের টাইপ-১ হয়, এদের দেহে ইনসুলিন উৎপাদিত হয় খুবই কম। এ জন্য রোগীকে বেঁচে থাকার জন্য ইনসুলিন ইনজেকশন বা ইনসুলিন পাম্প নিতে হয়। শিশু ও তরুণদের মধ্যে এ ধরনের বহুমুত্র হয় বেশি। ১০-৩০ বছরের মধ্যে দেখা দেয়।ইহা মূলত জেনেটিক কারনে হয়ে থাকে।এর জন্য দ্বায়ী হল HLADR 3 এবং HLADR 4 ।
টাইপ-১ কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়
• টাইপ-১-এ অটোইমিউনিটির জন্য বিটা কোষের ধংসের কারনে এই টাইপ-১-এ ডায়াবেটিস হয়ে থাকে ।
• টাইপ-১-বি ইহা ও বিটা কোষের ধংসের করনে হয়ে থাকে, কিন্তু এর সঠিক কারন জানা যায়নি ।
টাইপ-২ রোগীরা শরীরে যে ইনসুলিন উৎপন্ন হয়, একে ব্যবহার করতে পারে না। ব্যায়াম ও খাদ্যবিধির সাহায্যে একে প্রথমে মোকাবিলা করা হয়। তবে অনেক সময় প্রয়োজন হয় মুখে খাওয়ার ঔষুধ, এমনকি ইনসুলিন ইনজেকশন। ৪০ বছর বা তারপরে এ ধরনের বহুমুত্র রোগ দেখা দেয়।
বিশ্বজুড়ে ২৪৬ মিলিয়ন ডায়াবেটিস রোগীর ৯০ শতাংশের বেশি হলো টাইপ-২ ডায়াবেটিস। দুই ধরনের ডায়াবেটিসই গুরুতর এবং হতে পারে শিশু ও তরুণদেরও। এ জন্য ডায়াবেটিসের বিপদ-চিহ্নগুলো জানা খুবই প্রয়োজন। ‘মৃদু ডায়াবেটিস’ বলে কিন্তু কিছু নেই।
 
অন্যান্য ধরণ
নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় তৃতীয় এক প্রকার ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। ইহা জ্যেষ্টেশানেল ডায়াবেটিস নামেও পরিচিত।
 
সাধারণ লক্ষণাদি
• ঘন ঘন প্রস্রাব। এ কারণে এ রোগটির নাম বহুমূত্র রোগ ;
• অধিক তৃষ্ণা এবং মুখ শুকিয়ে যাওয়া ;
• অতিশয় দুর্বলতা ;
• সার্বক্ষণিক ক্ষুধা ;
• স্বল্প সময়ে দেহের ওজন হ্রাস ;
• চোখে ঝাপসা দেখা।ৱ ;
• ঘন ঘন সংক্রমণ।
 
বৈশিষ্ট্য ও বিভিন্ন জটিলতা
• অতিরিক্ত মেদ এ রোগের অনত্যম কারণ ;
• উপসর্গহীনতা বা অসচেতনতার কারণে চিকিৎসার অভাব ;
• কিডনি বা বৃক্কের অক্ষমতার অন্যতম মূল কারণ ডায়াবেটিস ;
• অন্ধত্ব বা দৃষ্টিবিচ্যূতির অন্যতম মূল কারণ ডায়াবেটিস ;
• বিনা দুর্ঘটনায় অঙ্গেচ্ছেদের অন্যতম মূল কারণ ডায়াবেটিস।
আমাদের হোমিওপ্যাথিতে অনেক ঔষধ আছে যা এই রোগ নিরাময় করতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
 

জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলে মারাত্মক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা!
যে নারীরা নিয়মিত জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খান, তাদের অন্ত্রে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমেরিকায় নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। হার্ভার্ডের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ড. হামিদ খলিলি ২ লাখ ৩০ হাজার নারীর ওপর এ গবেষণা চালিয়েছেন। বিগত ৫০ বছরে নারীদের শারীরিক অবস্থার কথা উঠে এসেছে তার গবেষণায়। ষাটের দশক থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি চারদিকে ছড়িয়ে যায়। বহু নারী এটি গ্রহণ করেন। আর তখন থেকেই তাদের অন্ত্রে নানা রোগ বাসা বাঁধতে থাকে। ক্রন ডিজিজ বলে এক
ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এতে মুখ থেকে মলদ্বার পর্যন্ত বিভিন্ন অংশে প্রদাহজনিত সমস্যা হয়। পাশাপাশি ওজন হারানো, অ্যাবডোমিনাল পেইন ও ডায়রিয়া হতে পারে যাতে রক্তক্ষরণ ঘটে। এতে খাদ্য হজমের গোটা প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটালে চিকিৎসা দেন ড. খলিলি। জানান, যে সকল নারীরা অন্তত ৫ বছর ধরে এসব ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের ক্রন ডিজিজ হওয়ার সম্ভাবনা অন্য নারীদের চেয়ে তিনগুণ বেশি। তবে শুধুমাত্র কন্ট্রাসেপটিভ পিল পুরোদমে এ কাজটি করে না। রোগীর জেনেটিক অবস্থাও এর জন্যে দায়ী। জেনেটিক অবস্থার সঙ্গে পিল যোগ হয়ে নারীদের দেহে ক্রন ডিজিজ দেখা দেয়। তাই এসব পিল যারা খাবেন, তাদের অন্ত্রে মারাত্মক রোগ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
লন্ডন ব্রিজ হসপিটালে আরেক কনসালটেন্ট ড. সিমোন অ্যান্ডারসন বলেন, যদি বংশে ক্রন ডিজিজের ইতিহাস থাকে তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।

ব্রিটেনের ১৬-৩০ বছর বয়সী ১ লাখ ১৫ হাজার নারী পিল গ্রহণ করেন এবং তারা ক্রন ডিজিসের হুমকির মধ্যে রয়েছেন। সবচেয়ে খারাপ খবরটি হলো, এ রোগ ভালো হওয়ার নয়। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে প্রদাহজনিত সমস্যা কমানো যেতে পারে। তবে এ থেকে বাঁচতে হলে জানতে হবে কি কি ভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
প্যারাসিটামল নিয়ে বিতর্ক
গর্ভাবস্থায় অনেকদিন ধরে প্যারাসিটামল খেলে সেটি জন্ম নেয়া পুত্র সন্তানের প্রজনন ক্ষমতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে দিয়েছেন। এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন গর্ভাবস্থায় শুধু অতি প্রয়োজনে এবং অল্প সময়ের জন্য প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। আর যাদের বেশি সময়ের জন্য এই ব্যাথানাশক ঔষধ দরকার তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া দরকার। ইঁদুরের উপর চালানো এক গবেষণার মাধ্যমে এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই তথ্য দিয়েছেন। গর্ভবতীদের জন্য ব্যাথানাশক হিসেবে প্যারাসিটামলকে সাধারণত নিরাপদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ব্যাথানাশক ছাড়াও জ্বরের ঔষধ হিসেবেও প্যারাসিটামল গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু যারা বাছবিচার ছাড়াই একটানা এই ঔষধ সেবন করেন তাদের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা তৈরি হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন গর্ভবতীদের ক্ষেত্রে কম মাত্রার এবং কম সময়ের জন্য প্যারাসিটামল সেবন করা যুক্তিযুক্ত।

গবেষকরা বলছেন ইঁদুরের উপর চালানো গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেলেও মানুষের শরীরে সেটা কতটা প্রভাব ফেলবে সেটা এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। নৈতিক কারণেই একই পরীক্ষা গর্ভবতী নারীদের উপর চালানো সম্ভব নয়। এদিকে রয়্যাল কলেজ অব প্যাডিয়াট্রিক এন্ড চাইল্ড হেলথ –এর বিজ্ঞানীরা বলছেন প্যারাসিটামল একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ এবং এটি সম্পূর্ণ বাদ দেয়া যাবে না। তবে বিতর্কটা হচ্ছে এই ঔষধ একটানা সাতদিন সেবন করার ক্ষেত্রে। অনেক সময় একটি বা দুটি ডোজ প্যারাসিটামল জ্বর সারিয়ে তুলতে পারে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন গর্ভাবস্থায় জ্বর হলে সেটির নেতিবাচক প্রভাব হতে পারে। সেটি যাতে না হয় সেজন্য স্বল্পমাত্রার প্যারাসিটামল অনেকসময় প্রয়োজনীয় হয়ে উঠে।
প্রস্রাবের রঙে শরীরের খবর

চিকিৎসাবিজ্ঞানের শুরুর কাল থেকেই মানুষের রোগ নির্ণয়ে প্রস্রাব পরীক্ষার চল রয়েছে। গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই প্রস্রাবের রঙে, ঘনত্বে এবং গন্ধে শারীরিক অবস্থার বিভিন্ন মাত্রা অনুমান করতেন আদিকালের চিকিৎসকেরা। এখন উচ্চপর্যায়ের বৈজ্ঞানিক গবেষণায় আরও অনেক তথ্য-উপাত্ত জানা গেলেও মৌলিক বিষয়গুলো অনেকটা একই আছে। প্রস্রাবের রঙে শারীরিক অবস্থার প্রাথমিক খোঁজখবরের কিছু সূত্র এখানে তুলে ধরা হলো----

দ্য ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রস্রাবের রঙেই বোঝা যাবে একজন মানুষ যথাযথ পরিমাণে পানি পান করছেন কি না। পাশাপাশি প্রস্রাবের সংক্রমণজনিত রোগসহ নানা অসুখ-বিসুখের উপসর্গও ধরা পড়তে পারে প্রস্রাবের রঙে। এ ছাড়া আমরা কী ধরনের খাবারদাবার খাচ্ছি তারও প্রভাব থাকে প্রস্রাবের রঙে।
 

বর্ণহীন হলে - আপনার প্রস্রাব যদি পরিষ্কার হয়, পানির মতো বর্ণহীন হয় তাহলে ধরে নেওয়া যেতে পারে আপনি বেশি মাত্রায় পানি পান করছেন। পাশাপাশি এটাও হতে পারে যে, আপনার শরীরে ‘ডাইউরেটিক’ উপাদানের মাত্রা বেড়েছে, যা কিনা শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। কফিজাতীয় পানীয়ের মধ্যে এই উপাদান থাকে।
চাল ধোয়া থেকে হলদে - প্রস্রাব চাল ধোয়া পানির মতো অস্বচ্ছ থেকে শুরু করে হলদে হতে পারে। শরীরে পানির ঘাটতি যত বাড়তে থাকবে প্রস্রাব যত বেশি হলদে রঙের হতে থাকবে। এ অবস্থায় বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
হলদে সোনালি বা মধু রঙের - আপনার প্রস্রাব যদি গাঢ় বাদামি থেকে শুরু করে হলদে সোনালি হয়ে যায় তাহলে দ্রুত পানি পান করুন। আর সাবধান থাকুন যাতে আবারও এমন না হয়। এটা রীতিমতো সতর্কসংকেত।
সিরাপের রঙের মতো - প্রস্রাব গাঢ় বাদামি বা সিরাপের রঙের মতো হয়ে গেলে বুঝতে হবে আপনার যকৃৎ বা কিডনির সমস্যা থাকতে পারে। অবশ্য কদিন বেশি মাত্রায় ঘৃতকুমারী, মটরশুঁটি বা শিমজাতীয় খাবার খেলেও হঠাৎ এমন হতে পারে। কিন্তু নিয়মিত বেশি পানি পানের পরও এই রং না বদলালে চিকিৎসকের কাছে যান।

হেমোরয়েডস বা পাইলস !!

হেমোরয়েডস বা পাইলস
হেমোরয়েডস (মার্কিন ইংরেজিতে Hemorrhoids) বা haemorrhoids হল পায়ূ পথে বিদ্যমান অঙ্গ রক্তনালী যা মল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ফোলা বা প্রদাহ থেকে এগুলো রোগ সংক্রান্ত বিষয় বা পাইলস-এ পরিণত হয়। শারীরবৃত্তীয় পর্যায়ে এগুলো ধমনী-শিরা পথ এবং যোজক কলা দ্বারা গঠিত কুশনের ন্যায় কাজ করে।
অস্বাভাবিক হেমোরয়েডস এর উপসর্গ এর ধরনের ওপর নির্ভরশীল। সাধারণত অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডস এর ক্ষেত্রে মলদ্বারে রক্তপাত লক্ষ্য করা যায় যা বেদনাবিহীন, আর বাহ্যিক হেমোরয়েডস হলে কয়েকটি উপসর্গ দেখা দিতে বা থ্রমবোজড (রক্তনালীতে গঠিত) হলে তা মলদ্বার অঞ্চলে লক্ষণীয় মাত্রায় ব্যথা ও স্ফীতির কারণ হতে পারে। অনেক লোক পায়ূ-মলদ্বার অঞ্চলের চারদিকে যে কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই তা “হেমোরয়েডস” ভেবে ভুল করে, যেগুলোকে উপসর্গের মারত্মক কারণ হিসাবে উপেক্ষা করা উচিত। হেমোরয়েডস এর প্রকৃত কারণ অজানা থাকলেও পেটের ভিতরে চাপ বৃদ্ধির নানা কারণ, বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্য এর পিছনে ভূমিকা রাখে বলে ধারণা করা হয়। প্রাথমিকভাবে রোগের হালকা থেকে মাঝারি পর্যায়ে চিকিৎসা হিসাবে রয়েছে আঁশ গ্রহণ, জলযোজন বজায় রাখতে মুখ দিয়ে তরল গ্রহণ, ব্যথা কমাতে এনএসএআইডি (স্টেরয়েড বহির্ভূত প্রদাহ নাশক ওষুধ) এবং বিশ্রাম। উপসর্গ গুরুতর হলে বা তা থেকে সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সত্ত্বেও উন্নতি না হলে ছোটখাট কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। এসব পদ্ধতি অবলম্বনের পর কারো উন্নতি না হলে তাদের জন্য রয়েছে শল্যচিকিৎসা। জনসংখ্যার অর্ধেকই জীবনের কোনো পর্যায়ে হেমোরয়েডস সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগতে পারে। চিকিৎসায় সচরাচর ভালো ফল হয়।

লক্ষণ ও উপসর্গ
অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক হেমোরয়েডস আলাদাভাবে দেখা দিতে পারে; তবে অনেকের মধ্যে এই দু’টির সমন্বয় দেখা যায়। রক্তাল্পতা দেখা দেওয়ার মত এতটা রক্তপাত তেমন একটা দেখা যায় না, এবং জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে এতটা রক্তপাত আরো বিরল। সমস্যা দেখা দিলে অনেক লোকই বিব্রত বোধ করে এবং কেবল রোগের যথেষ্ট বিস্তারের পরই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে।




বাহ্যিক
থ্রমবোজড না হলে, বাহ্যিক হেমোরয়েডস কিছু সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তবে, থ্রমবোজড বা রক্তনালীতে গঠিত হলে হেমোরয়েডস অত্যন্ত বেদনাদায়ক হতে পারে। তবে ২ – ৩ দিনেই এই ব্যথা সেরে যায়। তা সত্ত্বেও স্ফীতির অবসান হতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। সুস্থতার পরও স্কিন ট্যাগ থেকে যেতে পারে। হেমোরয়েডস বড় আকারের ও অস্বাস্থ্যকর হলে চারদিকের ত্বকে অস্বস্তি ও মলদ্বারের চারপাশে চুলকানি হতে পারে।

অভ্যন্তরীণ
অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডস হলে সচরাচর অন্ত্রের আন্দোলনের আগে বা পরে বেদনাহীন, উজ্জ্বল লাল রেকটাল ব্লিডিং (মলদ্বারে রক্তপাত) হতে পারে। মল রক্ত দ্বারা আবৃত থাকতে পারে, যে অবস্থাকে হেমাটোকেজিয়া বলে। এক্ষেত্রে টয়লেট পেপারে রক্ত দেখা যেতে পারে বা টয়লেটেও রক্তের ফোঁটা ঝরতে পারে। মলের রঙ সচরাচর স্বাভাবিক হয়। অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে রয়েছে শ্লৈষ্মিক স্রাব, মলদ্বারের চারদিকের অংশ পায়ুপথে বেরিয়ে আসা, চুলকানি, ও ফেসাল ইনকনটিনেন্স (পায়ুপথে গ্যাস বা মল নির্গমনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণহীনতা)। কেবল থ্রমবোজড বা রক্তনালীতে গঠিত হলে বা কলাবিনষ্টির ক্ষেত্রেই অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডস বেদনাদায়ক হতে পারে।

কারণ
লাক্ষণিক হেমোরয়েডস এর কারণ জানা যায় নাই। এর পিছনে যেসব কারণ দায়ী বলে ধারণা করা হয় তার মধ্যে রয়েছে: অন্ত্রের সমস্যা (কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া), ব্যায়াম ও পুষ্টি উপাদানে ঘাটতি (স্বল্প-আঁশ সমৃদ্ধ খাবার), পেটের ভিতরে চাপ বৃদ্ধি (দীর্ঘায়িত চাপ), অ্যাসিটিস (পেটের গহ্বরে জমা নিঃসৃত তরল), পেটের ভিতরে বস্তু বা গর্ভাবস্থা), জন্মগত, হেমোরয়েড শিরায় কপাটিকার অনুপস্থিতি ও বার্ধক্য। অন্যান্য যেসব কারণ ঝুঁকি বৃদ্ধি করে বলে ধারণা করা হয় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে স্থূলতা, দীর্ঘসময় বসে থাকা, দীর্ঘস্থায়ী কাশি এবং বস্তিদেশের কার্যক্রম বন্ধ। তবে এসব কারণের স্বপক্ষে সামান্য প্রমাণই পাওয়া যায়।
গর্ভাবস্থায়, তলপেটের ওপর ভ্রূণ এর চাপ ও হরমোনের পরিবর্তনের ফলে হেমোরয়েড রক্তনালী বর্ধিত হয়। প্রসবের কারণেও পেটের ভিতরে চাপ বৃদ্ধি পায়। প্রসবের পর সচরাচর উপসর্গ আর থাকে না বিধায় গর্ভবতী মহিলাদের শল্যচিকিৎসা লাগে না বললেই চলে।

রোগ ও শরীরবৃত্ত
হেমোরয়েড কুশন হল স্বাভাবিক মানব শরীরের অংশ ও তাতে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দিলেই কেবল তা বিকার বা রোগগত বিষয়ে পরিণত হয়। স্বাভাবিক পায়ু পথে প্রধান তিনটি কুশন থাকে। এগুলি বাম পার্শ্বে, ডানদিকে সম্মুখভাগে ও ডানদিকে পিছনে অবস্থিত। এগুলি ধমনী বা শিরা দ্বারা গঠিত নয়, তবে সাইনোসয়েডস নামক রক্তনালী, যোজক কলা ও মসৃণ কলা দ্বারা গঠিত। সাইনোসয়েডের প্রাচীরে শিরা-প্রাচীরের ন্যায় কোনো পেশী কলা নাই। এই রক্ত নালীগুলো হেমোরয়ডাল প্লেক্সাস (হেমোরয়েডের জাল) হিসাবে পরিচিত।
কনটিনেন্স (পায়ুপথে গ্যাস বা মল নির্গমনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ বা নিয়ন্ত্রণহীনতা) এর জন্য হেমোরয়েড কুশন গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো বিশ্রামের সময় পায়ূ বন্ধের চাপের ক্ষেত্রে ১৫-২০% অবদান রাখে ও মল নির্গমনের সময় অ্যানাল স্ফিঙ্কটার কলাকে (পায়ু বেষ্টনকারী রিং আকারের মসৃণ পেশী, স্বাভাবিক অবস্থায় যা পায়ু পথকে সংকুচিত রাখে) সুরক্ষা দেয়। কোনো ব্যক্তি চাপ সহ্য করার সময় পেটের ভিতর চাপ বৃদ্ধি পায় ও হেমোরয়েড কুশনের আকার বেড়ে পায়ু বন্ধ রাখতে সহায়তা করে। ধারণা করা হয় যে, এসব রক্তনালী নিচের দিকে নেমে গেলে বা শিরার চাপ খুব বেড়ে গেলে হেমোরয়েডের উপসর্গ দেখা দেয়। অ্যানাল স্ফিঙ্কটার এর বর্ধিত চাপও হেমোরয়েডের উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। দুই ধরনের হেমোরয়েড হতে পারে: অভ্যন্তরীণ, যা সুপিরিয়র হেমোরয়ডাল প্লেক্সাস থেকে ও বাহ্যিক, যা ইনফেরিয়র হেমোরয়ডাল প্লেক্সাস থেকে হয়। এই দুই অঞ্চলকে বিভক্ত করে ডেনটেট লাইন।

রোগনির্ণয়
শারিরীক পরীক্ষার মাধ্যমে হেমোরয়েড নির্ণয় করা হয়। পায়ু ও এর আশে পাশের এলাকা ভালভাবে দেখে বা পরীক্ষা করে বাহ্যিক বা স্থানচ্যুত হেমোরয়েড নির্ণয় করা যেতে পারে। মলদ্বারের টিউমার, পলিপ, বর্ধিত প্রস্টেট, বা ফোড়া সনাক্ত করতে মলদ্বার পরীক্ষা করা যেতে পারে। ব্যথার কারণে উপযুক্ত ঘুমের ওষধ বা ব্যথা-নাশক ছাড়া এই পরীক্ষা করা সম্ভব নাও হতে পারে, যদিও বেশির ভাগ অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডের সঙ্গে ব্যথার সংশ্লিষ্টতা নেই। চোখে দেখে অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েড নিশ্চিত করতে অ্যানোস্কপি প্রয়োজন হতে পারে। এটি হল এক প্রান্তে লাইট বা আলোর উৎস সংযুক্ত একটি ফাঁকা নল। দুই ধরনের হেমোরয়েড আছে: বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ। ডেনটেট লাইন থেকে অবস্থানের প্রেক্ষিতে এগুলো পৃথক হয়। কারো কারো মধ্যে একইসঙ্গে উভয়টির উপসর্গ দেখা যেতে পারে। ব্যথা থাকলে সেক্ষেত্রে এটি অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডের পরিবর্তে অ্যানাল ফিশার বা বাহ্যিক হেমোরয়েড হবার সম্ভাবনাই বেশি।


আমাদের হোমিওপ্যাথিতে অনেক ঔষধ আছে যা এই রোগ নিরাময় করতে পারে।


Dr. Faridul Islam Shohag 
D.H.M.S (BHB-Dhaka)
P.D.T (Homeopathic Medicine)
M.P.H (Nutrition). 
Consultant, Homeopathic Medicine & Nutrition.

labour and childbirth

labour and childbirth

For most women, homeopathic medicine can help enormously in the run-up to the birth of a baby and in avoiding or reducing some of the problems associated with labour, as well as in dealing with post-natal symptoms. This is the follow-up to the article ‘Common problems in pregnancy’, that was published in our Spring issue
 

 False labour
 

Labour-like contractions may occur in the last few weeks of pregnancy and are felt irregularly, usually in the lower part of the abdomen. These are said to occur because the uterus (womb) is ‘toning-up’ in preparation for the birth. If the contractions become very frequent or regular, or if there is a ‘show’ of blood, the doctor or midwife should be called.
 

Symptoms: Contractions that occur early in the pregnancy. Pain shoots across the abdomen, causing doubling up.
Medicine: Cimicifuga
 

Symptoms: Contractions that occur in the last few weeks of pregnancy
Medicine: Caulophyllum
 

Symptoms: Pain goes up the back and into the hips
Medicine: Gelsemium
 

Symptoms: Colicky, cramp-like pains
Medicine: Viburnum opulus
Dosage: Use the 12c potency.Take every hour until the pains cease.
 

Preparing for delivery
Taking Caulophyllum in the last weeks of the preg­nancy and Arnica before delivery will minimise
much of the bruising and bleeding. Caulophyllum is also said to ‘tone up’ the uterus, helping to produce good contractions and lessening the chances of becoming over tired during labour.
 

Symptoms: Reduces the bruising and bleeding of normal labour
Medicine: Arnica montana
Dosage: Arnica should be taken in the highest potency you can obtain — the 10m potency powder form if possible. If not, use the 30c potency in powder form. If you cannot obtain a powder, simply crush one tablet for one dose. Take one dose at the start of labour and one
during labour just before delivery. It is useful to take a 30c dose three times a day for three days after the birth of the baby.
 

Symptoms: Used routinely to help uterine contractions and to bring about a smooth delivery
Medicine: Caulophyllum
Dosage: Caulophyllum should be taken in the 30c potency — three doses on the same day each
week from the 34th week onwards. There is no clinical evidence that this homeopathic medicine
causes women to go into labour too early. This is specifically mentioned because Caulophyllum in
normal — that is, non-homeopathic doses — may cause early labour. Used homeopathically, it is
given to prevent premature labour and to help normal labour.
 

Symptoms: May help if there was heavy bleeding in a previous pregnancy
Medicine: Millefolium
Dosage: Millefolium should be taken in the 30c potency. Take three doses on one day in the last week of the pregnancy.
 


In early labour
A normal pregnancy lasts for 40 weeks. For a few weeks before the birth occasional painless ‘contractions’ may be felt in the lower abdomen (see False Labour above). When labour proper begins, the contractions become noticeable but may be infrequent and irregular. As labour proceeds, they become more frequent and occur at regular intervals. They may also produce some discomfort. At first they are often felt in the back. The start of labour may be indicated by a small
blood loss called a ‘show’. At some stage the membranes in which the baby is contained will rupture, producing a loss of a watery fluid from the vagina. This is perfectly normal. The actual duration of labour varies tremendously, but is lengthier with a first pregnancy, so there is usually plenty of time in which to get to hospital or for the midwife to arrive if delivery is to be at home.
 

Symptoms: When the labour pains are frequent but irregular. A good remedy if restless, anxious and frightened and convinced of dying during labour
Medicine: Aconitum
 

Symptoms: Painful labour, with the pain starting in lower back and radiating to inner part of the thighs.The woman may be over-excited and angry, and resent being examined. Intolerance of pain
Medicine: Chamomilla
 

Symptoms: Spasmodic irregular pains in the small of the back. Feelings of exhaustion and being out of control
Medicine: Cocculus
 

Symptoms: Contractions are very painful but ineffective. The woman is restless and agitated.
Medicine: Coffea cruda
 

Symptoms: Intermittent, relatively painless contractions with little progress. Excessive tiredness
Medicine: Gossypium
 

Symptoms: Early labour pains in back
Medicine: Kali carbonicum
Dosage: Use the 12c potency. Take every 30 minutes until relief is maintained. Immediately after delivery
 

The mother’s main problems after the birth will be related to bruising in the birth passage and surrounding organs, such as the bladder and urethra. With a prolonged labour, especially one that has caused much sleep deprivation, fatigue can also be a problem, but this is easily remedied by a good night’s sleep. The main problems after a birth by Caesarean section tend to be those that can occur after any surgical procedure. Most of these complications are unlikely, however,
if the woman has been treated with Arnica and Caulophyllum, as described above. See also the section on After-pains below.
 

 Symptoms: Difficulty passing urine. Restless, sleepless and frightened
Medicine: Aconitum
 

Symptoms: Constipation. Rectum feels sore and anus itches. Even a soft stool is passed with difficulty
Medicine: Alumina
 

Symptoms: Problems passing urine
Medicine: Arsenicum album
 

Symptoms: Irritation of the vulva. Cramp-like pains occur in the uterus (womb), mainly at night
Medicine: Caladium seguinum
 

Symptoms: Retention of urine, especially after a long labour
Medicine: Causticum
 

Symptoms: Nervousness and restlessness
Medicine: Chamomilla
 

Symptoms: Excited, oversensitive and suffers from insomnia. Abdominal pains
Medicine: Coffea cruda
 

Symptoms: Painful piles
Medicine: Collinsonia
 

Symptoms: Flatulence and abdominal colic
Medicine: Nux moschata
 

Symptoms: Back pain
Medicine: Phosporic acid. Itching between the breasts. Apathy
 

Symptoms: Piles and anal prolapse occur
Medicine: Podophyllum
 

Symptoms: Total exhaustion and overheating
Medicine: Secale cornutum
 

Symptoms: To aid healing if there has been catheterization or an episiotomy
Medicine: Staphysagria
Dosage: Use the 12c potency. Take three times a day for five days.
 

After pains
These pains are similar to labour pains and may occur after childbirth. They are a result of the uterus (womb) contracting as it reduces to its size before the pregnancy. The pains are more likely to occur to breastfeed­ing mothers as breastfeeding causes the pituitary gland to release the hormone oxytocin, which helps with milk production, and may also stimulate some uterine contractions.
 

Symptoms: Used routinely after all labours, especially if labour has been protracted
Medicine: Arnica montana
 

Symptoms: After pains with a headache, flushed face, nervousness, restlessness
Medicine: Belladonna
 

Symptoms: Soreness felt all through the pelvis, making walking and standing painful.
Medicine: Bellis perennis
 

Symptoms: Severe, cramp-like pains
Medicine: Camphora
 

Symptoms: Spasmodic pains occur which move across the lower abdomen, especially after a prolonged and exhausting labour. Quite specifically for after-pains.
Medicine: Caulophyllum
 

Symptoms: Severe pain causing great irritability
Medicine: Chamomilla
 

Symptoms: Intense pains like electric shocks in the groin. Agitated and intolerant of pain
Medicine: Cimicifuga
Symptoms: Pains which feel as if they are in the intestines rather than the uterus
Medicine: Cocculus
 

Symptoms: Extreme pain causing sleeplessness
Medicine: Coffea cruda
 

Symptoms: Distressing after-pains after pregnancy that is not the first
Medicine: Cuprum metallicum
 

Symptoms: Anxious, apprehensive, sleepless
Medicine: Gelsemium
 

Symptoms: Severe after-pains shoot down the thighs and are worse on the right. Pain appears to be in the rectum or the bladder
Medicine: Lac caninum
 

Symptoms: Large blood clots may be passed. Much flatulence
Medicine: Nux vomica
 

Symptoms: Pain shoots forwards from behind
Medicine: Sabina
 

Symptoms: Pain radiates upwards. A sensation of a weight in the lower bowel. Pelvic organs feel as though they are about to drop out
Medicine: Sepia
 

\Symptoms: Use this if there are not other symptoms and no other homeopathic remedy seems to fit
Medicine: Xanthoxylum
Dosage: Use the 30c potency. Take four times a day for two days after delivery.



গর্ভধারণে সহায়তা করে যে খাবারগুলো


মেয়ের বয়স ১২ পার হতেই এখন আর বিয়ের কথা ভাবেন না মা-বাবা। মেয়েরাও ভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তবেই না বিয়ের পিঁড়িতে বসবে। তাই নিজের অজান্তেই বেশ কিছু সময় পার হয়ে যায় প্রতিষ্ঠিত হতে হতে। একটা সময় পর বিয়ে করেন মেয়েরা। এরপর মাতৃত্বের স্বাদ নিতে মেয়েরা আগ্রহী হয়ে উঠে। খুব সহজেই অনেকের এই ইচ্ছাটা পূরণ হলেও অধিকাংশের দেখা দেয় নানা সমস্যা, নানা বিড়ম্বনা। তাই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া তখন খুবই জরুরি। ডাক্তার বেশ কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে। পরীক্ষায় ধরা পড়লো মেয়েটি শারীরিক উর্বরতাজনিত সমস্যায় ভুগছেন। এই সমস্যা দেখা যায় অধিকাংশ মেয়ের ক্ষেত্রেই। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে শুধু কিছু খাদ্যাভাস। গবেষকরা এ সমস্যার সমাধান বের করতে গিয়ে কিছু খাবার নির্ধারণ করেছেন। যা পারে একটি মেয়েকে তারা সন্তান ধারণে উর্বরতা শক্তি বাড়িয়ে দিতে। এমনই কিছু খাবারের তালিকা তুলে ধরা হলো…..


ডিম :
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নারীদের উর্বরতা বাড়াতে ডিম খেতে বলেছেন। সম্প্রতি তারা এক গবেষণায় পেয়েছেন মাত্র ৭% নারীর শরীরে সঠিক মাত্রায় ভিটামিন ডি আছে। বাকি সবাই ভিটামিন ডি-এর কম মাত্রায় ভুগছেন। তাই নারীদের তারা ডিম খেতে বলেছেন। কারণ ডিমে প্রচুর ভিটামিন ডি আছে।


কলা :
কলায় ভিটামিন বি-৬ আছে যা নারীদের নিয়মিত মাসিক হতে সহায়তা করে। এছাড়া দুর্বল ডিম্বাণু সবল করে উর্বরতা বৃদ্ধি করে। কলা হরমোনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে তাই গবেষকরা নারীদের কলা খেতে বলেছেন।
বাদাম :
বাদামে আছে প্রচুর পরমাণে ভিটামিন-ই। নিয়মিত বাদাম খেলে শরীরে ভিটামিন-ই-এর চাহিদা পূরণ হবে। যা উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করবে তাছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণ  এ্যন্টি-অক্সিড আছে। যা ডিম্বাণুকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।


মটরশুটি :
মটরশুটিতে আছে প্রচুর জিংক। যা নারীদের হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখে। জিংক এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টরনের ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই নিয়মিত মটরশুটি খাওয়া উচিত।


লেবু :
টকজাতীয় ফল যেমন লেবু শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে নারীদের গর্ভধারণে সহায়তা করে।


তাই হাতের কাছে পাওয়া এসব খাবার নিয়মিত খেলে অনেক বড় ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

ক্যালসিয়াম (Calcium) সমাচার!!

ক্যালসিয়াম সমাচার!! অনেক মানুষ মুড়ির মত যে ওষুধগুলো খায়, তার মধ্যে ক্যালসিয়াম (Calcium) ট্যাবলেট একটি। শরীরে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা সুবিস্তৃত। ...